মিয়ানমারের সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংকে বিক্ষোভ দমনে হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন আসিয়ানের সদস্যভুক্ত কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা।
একই সঙ্গে তারা রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তার প্রতি। ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর প্রথম বিদেশ সফরে গিয়ে এ আহ্বান পেলেন জান্তা প্রধান। খবর বিবিসির।
১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তাবাহিনীর দমন-পীড়নে ৭ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এ সংকট নিরসনে ইন্দোনেশিয়ায় আসিয়ানের এই বৈঠক প্রথম বড় আন্তর্জাতিক উদ্যোগ।
বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে আসিয়ানের সদস্যভুক্ত দশটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা পাঁচ দফায় একমত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে- অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ এবং আসিয়ান প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সামরিক ও বেসামরিক নেতাদের মধ্যে সংলাপ।
বিবৃতিতে মিয়ানমারকে মানবিক সহযোগিতা দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
বৈঠকের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে মিয়ানমারের নবগঠিত জাতীয় ঐক্য সরকার। উৎখাত হওয়া আইনপ্রণেতা, গণতন্ত্র মনষ্ক ব্যক্তিবর্গ, সশস্ত্র আদিবাসী গোষ্ঠীর নেতা ও সু চির নেতৃত্বাধীন সাবেক সরকারের বেসামরিক নেতারা এই ঐক্য সরকার গড়ে তুলেছেন।
বৈঠকের শেষে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সেইন বলেন, আসিয়ান প্রতিনিধি প্রেরণ বা মানবিক সহযোগিতার বিষয়টির বিরোধিতা করেননি মিয়ানমার জেনারেল। তিনি বলেছেন, আমাদের কথা শুনেছেন। বিষয়গুলো সহযোগিতা করবে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিনও রাজনৈতিক বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি চেয়েছেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারের শোচনীয় অবস্থার অবিলম্বে অবসান হওয়া উচিত।
বৈঠকস্থলে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছিলেন। তারা হাঁড়ি ও পাতিল দিয়ে শব্দ করেন এবং গণতন্ত্র প্রবর্তন করো এবং আমরা সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে লেখা প্ল্যাকার্ড তুলে ধরেন। শনিবার মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরেও বিক্ষোভ হয়েছে।
Leave a Reply