পটুয়াখালীর বাউফলে জোড়া হত্যা মামলার প্রধান আসামী কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন আহম্মেদ লাভলু গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে থাকায় চেয়ারম্যান পদ থেকে তাঁকে সাময়িক বরখস্ত করার আদেশ জারি করা হয়েছে।
রোববার গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহম্মেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ওই আদেশ জারি করা হয়েছে।
আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২ আগষ্ট কেশবপুর ইউনিয়নে জোড়া হত্যা সংঘঠিত হওয়ার ঘটনায় ১৯৬০ সনের দন্ডবিধি ৩০২(৩৪) ধারায় বাউফল থানায় দায়ের কৃত ফৌজদারি মামলায় (মামলা নং-৫,তাং-৪/৮/২০ইং) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলু গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে রয়েছে এবং জেলা প্রশাসক পটুয়াখালী এর বর্নীত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদে ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোনে সমীচিন নয় মর্মে সরকার মনে করে, সেহেতু পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেমবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কর্তৃক সংগঠিত অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিষদসহ জনস্বার্থে পরিপন্থি বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ধারা ৩৪(১) অনুযায়ী উল্লেখিত চেয়ারম্যানকে তাঁর স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখস্ত করা হল।
উল্লেখ্য, গত ২রা আগষ্ট সন্ধ্যায় ক্ষমতার আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে কেশবপুর ইউনিয় যুবলীগের সহ-সভাপতি রোমান তালুকদার ও তাঁর চাচাতো ভাই ইশাদ তালুকদারকে কেশপুর বাজারে কুপিয়ে হত্যা করে চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহম্মেদ লাভলুর সমর্থিত নেতা- কর্মীরা।
এ ঘটনায় মহিউদ্দিন লাভলুকে প্রধান আসামী করে বাউফল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই মফিজুর রহমান মিন্টু।
Leave a Reply