ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে ঘিরে সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনায় রবিবার (২৮ মার্চ) সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলাম। এই হরতালকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।
হরতালে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি মাঠে থাকবেন বিজিবি সদস্যরা। শনিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দফতর থেকে এ সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও পুলিশ সদর দফতরের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
নির্দেশনায় চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের ওপর হামলার আশঙ্কায় ডিএমপিসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থানেও থাকতে বলা হয়।
সূত্র জানায়, হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিতের লক্ষ্যে পুলিশ ও র্যাব সদর দফতরে পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও সদস্যদের নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি দেশের জানমাল, রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় কঠোর অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, যারা এই হরতালের নামে বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশের নামে নাশকতার চেষ্টা করবে, তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। কেউ যদি যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে, জানমালের ক্ষতির চেষ্টা করে তবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মনে রাখতে হবে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে র্যাব সদর দফতর সব ব্যাটালিয়নকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। কেউ হরতালের নামে সহিংসতা করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা ও মুখপাত্র পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাহিদা মোতাবেক সারাদেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার ডিএমপি কন্ট্রোল রুম থেকে রাজধানীতে কর্মরত আটটি বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি), অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ও সহকারী পুলিশ কমিশনারদের (এসি) সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, ডিএমপির থানাগুলোয় পুলিশ ফাঁড়ি ও পুলিশ বক্সে যেকোনো সময় হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।
ডিএমপি ছাড়াও এ সতর্কতা দেয়া হয় সারাদেশের থানাগুলোতেও। এ জন্য এসব স্থানে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি বাড়াতে বলা হয়েছে। এছাড়া যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য শুক্রবার রাত থেকে পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থায় থাকতে বলা হয়।
Leave a Reply