২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা নিয়ে ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন বিএনপির দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর গুডবুকে থাকতে এখন আওয়ামী নেতা-মন্ত্রীরা মিথ্যাচারের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। মন্ত্রীত্ব হারিয়ে আবার ফিরে পাওয়া বর্তমান তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও মিথ্যাচার করতে অত্যন্ত পারদর্শী। তিনি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার সম্পর্ক আবিষ্কার করে নতুন আষাঢ়ে গল্প ফেঁদেছেন- যা গোয়েবলসকেও হার মানায়।
সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, নতুন করে আবার ২১ আগস্ট নিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে মিথ্যাচার শুরু হয়েছে। অথচ ঢাকার সাবেক মেয়র হানিফ পুত্র সাঈদ খোকন হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়ে বলেছেন- তারা আগে থেকেই এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে সাবধান করেছিলেন, কিন্তু তিনি তা শোনেননি। এমনকি সরকার বা প্রশাসনকেও অবহিত করেননি। সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের এই বক্তব্য খুবই রহস্যজনক বলে জনগণ মনে করে।
বরিশালে আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনযন্ত্রের মাঝে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ওপর আওয়ামী নেতারা বিভিন্নভাবে হামলা, রক্তাক্ত ও তাদেরকে হেনস্তা করেছিল। সরকারি কর্মকর্তারা বিবৃতি দিয়ে আওয়ামী দুর্বৃত্তদের দুর্বৃত্তপনা বিষয়ে বলতে বাধ্য হয়েছেন।
এমরান সালেহ বলেন, বরিশালের ঘটনা সারাদেশে আওয়ামী দুর্বৃত্তায়নের ক্ষুদ্রাংশ মাত্র। অথচ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর দিনের ভোট আগের রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই অনুগত প্রশাসনের মাধ্যমেই। এখন তারা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনে দেশে এখন কোনো শ্রেণি-পেশার মানুষ আওয়ামী লীগের হাতে নিরাপদ নয়।
Leave a Reply