প্রথমধাপে ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদে আগামী ১১ এপ্রিল ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৮ মার্চ, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৯ মার্চ এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৪ মার্চ।
বুধবার (৩ মার্চ) নির্বাচন ভবনে কমিশনের এক সভায় এ তফসিল চূড়ান্ত করা হয়। সভা শেষে নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, ৩৭১ টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৩০টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে। বাকিগুলোতে কাগজের ব্যালটে ভোট হবে।
সবশেষে ২০১৬ সালের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ছয় ধাপে ৪ হাজার ৩২১টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হয়েছিল। ইসি সূত্র জানিয়েছে, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হবে।
ঈদের আগে একটি ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ ভোট হবে। এদিকে তফসিল ঘোষণার আগ থেকেই তৃণমূল পর্যায়ে সম্ভাব্য প্রার্থীরা পোস্টার, ব্যানারের ও সভা-সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়ে আসছেন। তফসিল ঘোষণার কারণে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে প্রার্থীদের আচরণ বিধিমালা মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশনের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তিন কমিশনার, ইসি সচিবসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। বিকাল ৩টায় শুরু হয়ে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে এ সভা।
কত ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, কমিশনের আগামী সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রোজা, বৃষ্টি মৌসুম ইত্যাদি বিবেচনায় রেখে ধাপ নির্ধারণ করা হবে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন করার একটা প্রিন্সিপাল আছে। সে অনুযায়ী ল’ অ্যান্ড এনফোর্সিং এজেন্সি (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সবই নিয়োগ করে থাকি। প্রয়োজনে বিজিবি নিয়োগ করব।
Leave a Reply