বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় সাইফুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবকের পা ভেঙে দিয়েছেন এলাকাবাসী। এ সময় তার দুচোখ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
রোববার ভোরে উপজেলার মঠেরপাড় গ্রামের ফসলের মাঠ থেকে তাকে উদ্ধার করে শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, আহত সাইফুল চিহ্নিত ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও মাদকসহ ১২টি মামলা রয়েছে।
সাইফুল শরণখোলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর গ্রামের নুরু মোল্লার ছেলে।
খোন্তাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন জানান, সাইফুল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল।
সম্প্রতি রাজৈর এলাকায় চুরি করতে গেলে বাধা দেওয়ায় ইব্রাহিম নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করে সে। এ ছাড়া একই এলাকার আসলাম হাওলাদারের একটি গাভীর পায়ের চারটি রগ কেটে দেয়।
এর আগে সে আসলামের ঘরে ডুকে তার মেয়েকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বিয়ে করে। তার বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় ১২ মামলা রয়েছে।
এ ছাড়া সাইফুল পুলিশের হ্যান্ডকাপসহ পালিয়েছিল এবং বাগেরহাট জেলখানার দেয়াল ডিঙিয়ে পালানোর সময় ধরা পড়ে।
সাইফুলের একের পর এক অপরাধ কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিল। তার ভয়ে এলাকার অনেক লোক পালিয়ে থাকত। এ ঘটনায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।
শরণখোলা থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান জানান, ভোরে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সাইফুলকে মারধর করে পা ভেঙে দুই চোখ নষ্ট করে দিয়ে ফসলের মাঠে ফেলে রেখে যায়। পরে এলাকার ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন তালুকদার তাকে উদ্ধার করে শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তার বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির প্রস্তুতি ও মাদকসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। সাইফুলের চিকিৎসার জন্য তার বাবা নুরু মোল্লাকে খবর দেওয়া হলে ছেলের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই বলে তিনি জানান।
শরণখোলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফয়সাল আহম্মেদ জানান, সাইফুলের দুই চোখ নষ্ট এবং বাম পা ভেঙে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার কোনো অভিভাবক পাওয়া যাচ্ছে না।
Leave a Reply