দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যু বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে গত ২৯ মার্চ ১৮ দফা জরুরি নির্দেশনা জারি করা হয়। ৩১ মার্চ থেকে গণপরিবহনে ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন শুরু হয়। ১ এপ্রিল থেকে নৌপথেও অর্ধেক যাত্রী পবিবহন কার্যকর হয়। অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার নির্দেশনা কার্যকরে গণপরিবহনে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়।
করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় গত ৩ এপ্রিল সারা দেশে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এর পরদিনই প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে এটি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি হয়। ওইদিনই অপর এক ঘোষণায় কাদের জানান, এক সপ্তাহ লকডাউন শুরু প্রথম দিন অর্থাৎ সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে সারা দেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তবে চরম জনভোগান্তি ও জনদাবির মুখে লকডাউন শুরুর তৃতীয় দিন ৭ এপ্রিল থেকে দেশের সিটি করপোরেশন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে বলে জানান কাদের।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গেল বছর ২৩ মার্চ প্রথমবার ‘সাধারণ ছুটি’ ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। শুরুতে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ‘ছুটি’ ঘোষণা করেও পরে দফায় দফায় সেই মেয়াদ মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেসময় সব অফিস-আদালত, কল-কারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ছুটির মধ্যে সবকিছু বন্ধ থাকায় সেই পরিস্থিতি ‘লকডাউন’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
কিন্তু টানা সাধারণ ছুটির কারণে নিম্নবিত্তের জীবন-জীবিকা ও দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা অস্তিত্ব সংকটে পড়লে বিভিন্ন মহলের দাবির মুখে সরকার ৩১ মে’র পর থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ শিথিল করতে থাকে। বছরের শেষে এসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া আর সবকিছুতেই কড়াকড়ি উঠে যায়।
তবে চলতি বছরের শুরুতে করোনার সংক্রমণ অনেকটা কমে এলেও মার্চ মাসের শুরু থেকেই ধীরে ধীরে আবারও বাড়তে থাকে। মাসের শেষ সপ্তাহ নাগাদ তা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। আর এপ্রিলের গত ৮ দিনে প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যু আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
Leave a Reply