কুড়িটি দেশের প্রবাসীদের ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। মহামারি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার বিষয়ক এজেন্সি জানিয়েছে, তবে বিধিনিষেধের এই শিথিলতা তাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, যারা নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের আগে সৌদি আরবে করোনার টিকা নিয়েছিলেন।
দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ বলছে, সৌদি নাগরিক, বিদেশি কূটনীতিক, স্বাস্থ্যকর্মী ও তাদের পরিবারকে নিষেধাজ্ঞা থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে।
এমন এক সময় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার এই ঘোষণা এসেছে, যখন মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সৌদি আরবে নতুন করে করোনায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে উপসাগরীয় দেশটিতে মহামারিতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৪৯৭ জন।
খবরে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে ফিরতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের সংক্রমণমুক্ত নিশ্চিত হতে সব ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে করোনার নতুন নতুন সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর বিভিন্ন দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল সৌদিরা।
এসব দেশের মধ্যে রয়েছে—সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, লেবানন, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও জাপান।
সৌদি আরবে ভ্রমণের ১৪ দিনের মধ্যে এসব দেশ থেকে ভ্রমণ করে আসা লোকজনের ওপরও এই নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হয়েছিল। সৌদি আরবের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট নেই, এমন অনেক দেশ থেকে আসা যাত্রীদের দুবাইকে ট্র্যানজিট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এসব মানুষের অন্য কোনো বিকল্প রুট না থাকলেও তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছিল।
ফেব্রুয়ারিতে সৌদিতে বলা হয়েছিল, বড় ধরনের জমায়েত করলে ও সামাজিকদূরত্ব লঙ্ঘনের দায়ে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ২০২০ সালের ১৪ মার্চ মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষ অর্থনীতির দেশটিতে প্রথম ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এর দুসপ্তাহ আগে করোনাকে মহামারি ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
Leave a Reply