জগন্নাথপুর পৌর শহরের হবিবপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল নূরের বাড়ি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তার বোন শিবলী বেগমসহ একটি মহল।
অনুসন্ধানে জানাযায়, জগন্নাথপুর বাড়ি মৌজার ৪৪নং জেএল স্থিত এস এ দাগ নং ১৫২৩, আরএস দাগ ১৫২৬ ইহাতে ২৩ শতক বাড়ি রকম ভূমি ১৯৯৫ সালের ৮৯২নং দলিলমূলে ক্রয় করেন প্রবাসী আব্দুল নূর। বর্তমান জরিপে উল্লেখিত ভূমি আব্দুল নূর এর নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। তিনি সরকারের যথাযথ নিয়ম মেনে পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে উক্ত ভূমিতে বিশাল অট্রালিকা তৈরী করেন।
প্রবাসী আব্দুল নূর এর দেশে থাকা স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি দেখাশুনা করার জন্য দায়িত্ব প্রদান করেন হবিবপুর গ্রামের মৃত সফিক মিয়ার পুত্র আজিদ মিয়াকে। প্রায় ২বছর পূর্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রবাসী আব্দুল নূর মারা গেলে তার পুত্র এ.কে .এম ফজলুল হক (মুন্না) তার পিতার রেখে যাওয়া সকল সম্পত্তি দেখাশুনার জন্য আজিদ মিয়াকে কেয়ারটেকার নিযুক্ত করেন।
শিবলী বেগম আব্দুল নূর এর সম্পত্তি দখলে নিতে কেয়ার টেকার আজিদ মিয়া ও এ.কে .এম ফজলুল হক মুন্নার মামা পৌর শহরের ইসহাকপুর এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত কাষ্টম কর্মকর্তা আবু লেইছকে মামলা মোকদ্দমা দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে। জীবিত অবস্থায় আব্দুল নূর এলাকায় শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি জগন্নাথপুরের শিক্ষা বিস্তারে গঠিত জগন্নাথপুর ব্রিটিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি হিসেবে এলাকার শিক্ষার উন্নয়নে আজীবন কাজ করে গেছেন।
এ.কে .এম ফজলুল হক মুন্না জানান, আমার পিতার মৃত্যুর পর শিবলী বেগম সহ একটি চক্র আমার পিতার খরিদা সূত্রে মালিকানা ভূমি দখলে নিতে আমাদের কেয়ারটেকার আজিদ মিয়া ও আমার মামা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আবুল লেইছ এর বিরুদ্ধে মামলা মোকাদ্দমা ও মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে আমাদের পরিবারের মানসম্মান ক্ষুন্ন করেছে। আত্মীয় স্বজন ও শুভাকাঙিখদের মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানান।
Leave a Reply