ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটি শিবির পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এই ঘটনায় ওই আশ্রয় শিবিরের শত শত রোহিঙ্গা বাস্ত্যুচুত হয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বলেছে, শনিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে দিল্লির ওই রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে এই আগুন পুরো শিবিরে ছড়িয়ে পড়ে। দিল্লির দক্ষিণের মদনপুর খাদর এলাকায় রোহিঙ্গাদের জীর্ণশীর্ণ ওই আশ্রয় শিবিরের ৫৫টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তবে অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ২০১৮ সালের পর দ্বিতীয় বারের মতো দিল্লিতে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।
দিল্লির ফায়ার সার্ভিস বিভাগ বলছে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ১৫টি ইউনিট মোতায়েন করা হয়। দীর্ঘ ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন তারা। ফায়ার সার্ভিসের অপারেটর সন্দীপ বলেন, আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং আগুন নেভানোর চেষ্টা করি।
৫৫টি পরিবারের আবাস এই শিবির আগুনে ধ্বংস হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের সময় মদনপুর খাদর এলাকার আকাশ কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। শিবিরের রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সহায়তার জন্য কান্নাকাটি করেন।
আগুন ছড়িয়ে পড়ার সময় কুঁড়ে ঘরে শারীরিক প্রতিবন্ধী মা ও সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন ৩২ বছর বয়সী সুফিয়া খাতুন। তিনি বলেন, একটি কুঁড়ে ঘর থেকে আগুরে সূত্রপাত হয়েছে।
ভারতের বিভিন্ন শহরে কমপক্ষে ৪০ হাজার নথিবিহীন রোহিঙ্গা রয়েছে। হায়দরাবাদ, জম্মু এবং নুহ-সহ দেশটির বিভিন্ন শহরের শরণার্থী শিবিরে এই রোহিঙ্গারা অত্যন্ত মানবেতর পরিবেশে জীবন-যাপন করছেন। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা অল্প কিছু রোহিঙ্গাকে শরণার্থী কার্ড দিয়েছে।
Leave a Reply