বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে ৮ মাসের এক গর্ভবতী গৃহবধু কামরুন্নাহার হাউসি (২২) কে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (৮ ফ্রেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের মধ্য দিঘলকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় মাইমুন বেগমন (৪৮) নামের একজন নারীকে আটক করেছেন। মৃত গৃহবধূর কামরুন্নাহার হাউসি জোড়গাছা ইউনিয়নের মদ্য দিঘলকান্দি গ্রামের ইব্রাহিমের মেয়ে এবং একই গ্রামের রঞ্জু মিয়ার স্ত্রী ।
এ ঘটনায় আরো ৫ জন আহত হয়ে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয় ইব্রাহীম, আব্দুল কাদের, জরিনা বিবি, রজিনা বেগম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মধ্য দিঘলকান্দি গ্রামে ইব্রাহিম ও তার পরিবারের সঙ্গে ওই গ্রামের আব্দুল মান্নানের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। সোমবার দুপুরে ইব্রাহিম ও তার পরিবার বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত জমিতে কাজ করছিলেন। এমন সময় প্রতিপক্ষ আব্দুল মান্নাননহ ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল ইব্রাহিমদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। হামলায় ইব্রাহিমের গর্ভবতী মেয়ে কামরুন্নাহারের পেটে লাথিসহ বেধরক মারধর করলে তিনি মাটিতে লুটে পড়েন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথেই মৃত্যু হয় তার।
স্থানীয়রা জানান, বাড়ির পাশের একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল প্রতিপক্ষ আব্দুল মান্নানদের তবে, যে জমির জন্য কামরুন্নাহার খুন হলেন, সেই জমি নিয়ে কোন বিরোধ নেই। বাড়ির পাশে জমিতে ইব্রাহিমসহ তার পরিবার কাজ করার সময় মান্নান, নান্নু আকন্দ, আব্দুল হান্নান, গফুর, বিপুল মানিক, ভানু বেগম, ওবায়দুল, রেবেকা বেগম ও মাইমুন বেগম এসে অতর্কিত হামলা চালান। ওই সময় ইব্রাহিমের গর্ভবতী মেয়ে কামরুন্নাহার ওখানে উপস্থিত ছিলেন। হামলার এক পর্যায়ে তারা কামরুন্নরাহারের পেটে লাথি দিয়ে অতর্কিতভাবে মারধর শুরু করেন। এতেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
হামলায় মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেন সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম বলেন, কামরুন্নাহার হাউসির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে এবং মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply