বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মহাপরিচালক ডাঃ খলিলুর রহমান বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মানুষের পুষ্টি মান উন্নয়নে ১৯৭২ সালে সংবিধানে মানুষের পুষ্টি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করার অঙ্গিকার সংযোজন করেন। এই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৪ সালে জাতীয় পুষ্টি প্রতিষ্ঠান এবং ১৯৭৫ সালে জাতীয় পুষ্টি পরিষদ গঠন করে দেশের পুষ্টি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। ২০১৬ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পুষ্টি দশক পালন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পরে দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এই কর্মপরিকল্পনায় ২২টি মন্ত্রণালয়কে সংযুক্ত করা হয়েছে। দেশের মানুষের পুষ্টি স্তর উন্নয়নে সরকার ২৩ হাজার কোটি টাকার বাৎসরিক বাজেট বরাদ্দ দিয়েছে। সমৃদ্ধ জাতি গঠনে পুষ্টির কোন বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) বহুখাত, বহুপাক্ষিক এবং বহুস্তর পদ্ধতিতে পুষ্টি কাঠামোর সমন্বয়ের মাধ্যমে পুষ্টির উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে নাটোরে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক ডাঃ খলিলুর রহমান এসব কথা বলেন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ।
মহাপরিচালক ডাঃ খলিলুর রহমান আরো বলেন, সফল মায়ের অন্তসত্তা অবস্থার শুরু থেকে শিশু ভুমিষ্ট হওয়ার পর দুই বছর পর্যন্ত ‘সোনালী হাজার দিনথ উল্লেখ করে মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, এই সময়ে মানুষের ৯৮ শতাংশ বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটে। তাই এই সময়ে অভিভাবকদের উচিৎ তাদের সন্তানের মূল্যবান পুষ্টি নিশ্চিত করা।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ বলেন, জনসাধারণের পুষ্টি মানের উন্নয়নে খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্যও নিশ্চিত করতে হবে। দেশের মানুষের আর্থিক সংগতি বৃদ্ধির সাথে সাথে তাদের পুষ্টি সচেতনতা বেড়েছে এবং পুষ্টির স্তরও বাড়ছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
অন্যান্যের মধ্যে সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সাজেদুর রহমান খান, সিভিল সার্জন ডাঃ কাজী মিজানুর রহমান, নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রমজান আলী আকন্দ, ইউনাইটেড প্রেসক্লাবের সভাপতি নবীউর রহমান পিপলু , ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবন প্রমুখ।
Leave a Reply