খুলনার ডুমুরিয়ায় গৃহবধূ টুম্পা রানী মন্ডল হত্যা মামলায় স্বামীসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত। একই সাথে লাশ গুমের অভিযোগে ২০১ ধারায় ওই তিন আসামির ৭ বছর কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছেন গৃহবধূর স্বামী প্রসেনজিৎ গাইন (২৭), তার বন্ধু অনিমেষ (২৫) ও বিপ্লব কান্তি মন্ডল (৩২)। এদের বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার সেনপাড়া এলাকায়। আসামিদের মধ্যে প্রসেনজিৎ ও বিপ্লব গাইন পলাতক। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন। ২০১৬ সালের ৭ অক্টোবর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে মামলা করেন টুম্পা রানী। এ ঘটনার জের ধরে ২০১৬ সালে ৭ অক্টোবর বিভিন্ন জায়গায় পূজা দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে টুম্পাকে হত্যা করে আসামিরা। পরে লাশ বাদুড়গাছা মন্দিরের পাশে ঘ্যাংরাইল নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। ৯ অক্টোবর নদীর কিনারা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সমিত মন্ডল ডুমুরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কেরামত আলী চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলায় সুদাশ গাইনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
Leave a Reply