ময়ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী উপজেলা হালুয়াঘাট। গারো পাহাড়ের পাদদেশে থাকা এ উপজেলা চোরাচালানকারীদের জন্যও এখন নিরাপদ রুট। এ পথ দিয়েই চালান হতো মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও মাথার খুলি। ১২টি মাথার খুলি ও দুই বস্তা কঙ্কাল নিয়ে গ্রেফতার হওয়ার পর এমন বর্ণনাসহ অনেক অজানা কথা জানিয়েছে গ্রেপ্তার হওয়া যুবক।
এদিকে মানুষের মাথার খুলি উদ্ধারের পর জেলার অনেক কবরস্থানে ছুটছেন স্বজনরা। বিভিন্ন কবরস্থান থেকে লাশ চুরি করে বাপ্পীর কাছে পাঠাতো চোর চক্রের সদস্যরা।
পরে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে নিজের বাসায়ই কঙ্কাল রাখত বাপ্পি। সেখান থেকে বিক্রী করা হত দেশের বিভিন্ন স্থানে। ময়মনসিংহের কতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ তালুকদার জানিয়েছেন ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী উপজেলা হালুয়াঘাট দিয়ে এসব পাচার করা হতো ভারতেও।
বাপ্পী এর আগেও কঙ্কালসহ গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছে। জেল থেকে বের হয়ে আবারো একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে সে। আবাসও নগরীর কবরখানা রোড এলাকায়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আহমার উজ্জামান বলছেন, বাপ্পীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দেশের বাইরে পাচারের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পরিচালক লেঃ কর্ণেল ফয়জুর রহমান জানিয়েছেন কঙ্কাল পাচারের বিষয়টি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদেরকে জানানো হয়নি।
রোববার রাতে আটক বাপ্পির সঙ্গে শাকিল নামে আরেকজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও কয়েক জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
কবর থেকে লাশ চুরি করে কঙ্কাল সংগ্রহ করতেন তারা
Leave a Reply